সরকার কর্তৃক ঘোষিত সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা নদীর বয়ারচর এলাকায় মঙ্গলবার দুটি ট্রলারে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরছিলো। বড়ক্ষেরী নৌ পুলিশ স্টেশন ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম নেতৃত্বে একটি টিম গভীর সমুদ্র থেকে দুইটি ফিশিং বোট দিয়ে মাছ ধরে ফেরার সময় আটক করে। ট্রলার দুইটিতে এক হাজার পাঁচশ কেজি বিভিন্ন প্রকারের সামুদ্রিক মাছ ছিল। ১০ হাজার মিটার অবৈধ সুতার জাল ছিল। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুটি ট্রলার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। মাছগুলো প্রকাশ্য নিলামে তিন লাখ ২৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে, ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয় নৌ পুলিশ।
গত দুই দিনে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ কবির হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ৯ কোটি মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করেন। নৌ পুলিশের প্রধান ডিআইজি আতিকুল ইসলাম বলেন, সাগরে ৬৫ দিন মাছ আহরণের উপর জোর নিষেধাজ্ঞা চলমান রাখছে নৌ পুলিশ। উপকূলীয় এলাকা সমূহ শুধু ট্রলার নয় বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে প্রায় আড়াইশ বরফকলের উপর। নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে নৌ পুলিশের অভিযান চলবে। এত সব কাজ শুধু মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য।
ইত্তেফাক/এসি