বর্ষাকাল আসতে এখনো বেশ কিছুদিন বাকী। কিন্তু ইতিমধ্যেই যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু হয়েছে। যমুনার শাখা নদীগুলিতেও আসতে শুরু করেছে নতুন পানি। আর নতুন পানিতে মাছ শিকার করা এই অঞ্চলের মানুষের পুরানো ঐতিহ্য। তাই নদীতে নতুন পানি আসার সাথে সাথে শুরু হয়েছে মাছ শিকারের উৎসব।
কালিহাতীতে পেশাদার জেলেদের পাশাপাশি মৌসুমি বা সৌখিন মাছ শিকারিরাও মেতে উঠেছে মাছ শিকারে। গত কয়েকদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে, যমুনার শাখা নদী বংশাই, লৌহজং, পৌলী ও ঝিনাই নদীসহ বিভিন্ন নদীতে সৌখিন মৎস্য শিকারিরা বিভিন্ন ধরনের দেশীয় পদ্ধতিতে মাছ শিকার করছে। অনেকে র কাছে এটা অবসর সময় কাটানোর একটা বিনোদন হিসাবেও কাজ করছে।
বর্ষার নতুন পানিতে দেশী জাতের মাছ পাওয়া যায় বলে মৎস্য শিকারিদের আগ্রহটাও একটু বেশী। পেশাদার জেলেরা এসব মাছ স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে। চাহিদা বেশী থাকায় আবার কখনো কখনো নদীর ঘাট থেকেই বিক্রি হয়ে যায় এসব মাছ। সৌখিন মৎস্য শিকারিরা মাছ ধরে নিজেদের খাওয়ার জন্য।তারা মাছ বিক্রি করে না। তাই অনেকে রাত জেগেও মাছ শিকার করে।
সল্লার সৌখিন মৎস্য শিকারি মো. মোমেন মিয়া জানালেন, প্রতি বছরই নদীতে নতুন পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ ধরেন তিনি। এতে তার আলাদা আনন্দ হয়। মোমেন মিয়ার মত আরও অনেকেই নতুন পানিতে মাছ ধরে আনন্দ পায়। তাই যমুনা নদীতে নতুন পানি আসার সাথে সাথে চরাঞ্চলের পেশাদার জেলেরা যেমন খুশী হয় ,তেমনই খুশী হয় সৌখিন মৎস্য শিকারিরাও।নতুন পানি তাদের জন্য আলাদা আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে। কাই নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রতিবছরের মত এবারও তারা মেতে উঠেছে সৌখিন মৎস্য শিকারে।
ইত্তেফাক/এমআরএম