পাবনার সাঁথিয়ায় এক মানসিক প্রতিবন্ধী ছেলে সন্তান প্রসব করেছে। সন্তানটি মা পেলেও সে কখনও হয়তো বাবার পরিচয় পাবে না। জানা যায়, উপজেলার কাশিনাথপুর পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে রোববার সুস্থ, সুন্দর ও ফুটফুটে এক নবজাতক পুত্রসন্তানের জন্ম দেয় মানসিক প্রতিবন্ধী। কারো যৌন লালসার শিকার হয়ে জন্ম নেয়া এ সন্তানের বাবা কে? কি হবে তার বংশ পরিচয়? কে নেবে তার দায়ভার? এমনটাই প্রশ্ন স্থানীয়দের।
দীর্ঘদিন ধরে ১৮/২০ বছর বয়সী মানসিক ভারসাম্যহীন এই তরুণী কাশিনাথপুর, দ্বারিয়াপুর,বিরাহিমপুর,চব্বিশমাইল,দুলাই,চিনাখড়া’সহ বিভিন্ন বাজারে ঘোরাফেরা করতো। তার নাম,ঠিকানা সম্পর্কে কেউই অবগত নয়। স্থানীয় হোটেল-রেস্টুরেন্ট বা মানুষের সাহায্য সহযোগিতায় তার খাওয়া পরা চলে আর যখন যেখানে যাওয়া সেখানেই তার রাত্রি যাপন। সম্প্রতি মানসিক প্রতিবন্ধী ওই তরুণীর সন্তান সম্ভবা হওয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়। বিষয়টি অনেকেরই দৃষ্টিগোচর হয়। জনৈক এক ব্যক্তি ওই নারীর কয়েকটি ছবি তুলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সমাজ সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এতে সাড়া দেন কয়েকজন সচেতন ব্যক্তি ও বিডি এভারগ্রীন (এভারগ্রীন ফ্রেন্ডস সার্কেল) নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শনিবার তাকে দুলাই-চিনাখড়ার মধ্যবর্তী গুচ্ছগ্রামের নিকট থেকে ওই নারীকে নিয়ে এসে কাশীনাথপুর পদ্মা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রবিবার সে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করে। খবর শুনে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে খাদ্য,ঔষধ ও আর্থিক সহায়তা’সহ বিভিন্নভাবে এগিয়ে এসেছেন কাশিনাথপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কাশিনাথপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের প্রফেসর মোঃ শফিকুল আলম খান টিটুল,বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা.আল আমিন,সাব ইন্সপেক্টর শেখ সজিব, পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মোঃ সুজন হোসেন এবং বিডি এভারগ্রিনের শেখ শাহিন ও কৌশিক আহমেদ অনিক প্রমূখ। এ প্রতিবেদককে শফিকুল আলম খান টিটুল বলেন,বিষয়টি জানতে পেরে মানবিক কারণেই আমি তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।
অনেকের ধারনা সাময়িক ভাবে প্রতিবন্ধী ও তার সন্তানের দেখাশোনা করছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। সন্তানের ভবিষ্যৎ কি হবে? কোথায়, কার কাছে সে বেড়ে উঠবে? এ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।
ইত্তেফাক/এসআই
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক