সাতক্ষীরার তালায় ইকবাল হোসেন (৩২) নামের এক প্রকৌশলীর করোনা পজেটিভ এসেছে। তিনি উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার গ্রামের আ. মজিদের পুত্র এবং বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে (পাওয়ারপ্লান্ট) প্রকৌশলী হিসেবে চাকুরী করেন।
শুক্রবার (১৯ জুন) সকালে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রাজিব সরদার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ সময় করোনা আক্রান্ত যুবকের বাড়িসহ আশপাশের ৮/১০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়।
এ নিয়ে তালা উপজেলায় ৫ নারীসহ মোট ১৫ জন করোনা পজেটিভ রোগী সনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তালা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারাহ ফেরদৌস।
জানা গেছে, ইকবাল হোসেন রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রকৌশলী হিসেবে চাকুরী করাকালীন গত ২ জুন গায়ে জ্বরসহ শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করায় কর্তৃপক্ষ ডাক্তার দ্বারা তার কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহ করান। পরে ৫ জুন রিপোর্ট পজেটিভ আসে। পাওয়ার প্লান্টের কর্তৃপক্ষ ইকবালকে তাদের নিয়ন্ত্রণে ১৭ দিন আইসোলেশনে রেখে বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) তাকে বাড়িতে পাঠান। তিনি বাড়ি ফেরার পথে খুলনা ২৫০ শয্যা মেডিকেল হাসপাতালে নিজ উদ্যোগে পুনরায় কোভিড-১৯ এর নমুনা প্রদান করে বিকালে নিজ বাড়ি মানিকহার গ্রামে আসেন। পরবর্তীতে করোনা প্রতিরোধকল্পে এবং এলাকাবাসীর স্বার্থে পাটকেলঘাটা থানার কুইক রেসপন্স টিম তার বাড়িসহ আশপাশের ১০টি বাড়ি লকডাউন করে।
তবে, বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে গেলেও করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, আক্রান্ত যুবকের বাড়িসহ আশেপাশের ৮/১০টি বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সকল ধরনের সহায়তার জন্য পুলিশ সবসময় তাদের পাশে আছে জানিয়ে তিনি সকলকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।
এদিকে সাতক্ষীরায় আরো দুই জন করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের রিপোর্ট সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসে এসেছেন। আক্রান্ত রোগীরা হলো কলারোয়া উপজেলার আসাদুল ইসলাম ও কালিগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের শাহিন হোসেন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইত্তেফাক/এমআর
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক