একাত্তর টেলিভিশনের ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি মো. মনিরুল ইসলাম টিটোর পিতা অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কাছেদ আলী (৭১) শনিবার ভোর পৌনে ছয়টায় ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি দুই সন্তান ও এক কন্যা সহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন।
পুলিশে চাকরিরত অবস্থায় ১৯৭১ সালে পাক বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইনে হামলা করলে তিনি সঙ্গীদের নিয়ে অস্ত্রসহ সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে নিজ এলাকা ফরিদপুরে ফিরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
শনিবার দুপুরে ছোলনা সালামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন শেষে তাকে মাদ্রাসা সংলগ্ন কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে উপ পরিদর্শক সাইফুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের চৌকষ দলের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন শেষে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কাছেদ আলীর মৃত্যুতে বোয়ালমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, ফরিদপুর প্রেসক্লাব, বোয়ালমারী প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ ফরিদপুরে কর্মরত সাংবাদিকগন গভীর শোক জানিয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানাজায়, শুক্রবার সকালে ফজরের নামাজে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে আহত হন তিনি। এরপর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও শুক্রবার দিবাগত মধ্যে রাতে আবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এসময় ৯৯৯ লাইনে কল করে এম্বুলেন্স নিয়ে এসে তাকে প্রথমে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। ভোর রাত সোয়া ৫টায় তাকে সেখানে এনে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভোর পৌনে ৬টায় তিনি মারা যান।
ইত্তেফাক/আরএ
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক