উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে দেখা দিয়েছে বন্যার আশঙ্কা। প্রতিদিনই যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে চরাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, তাতে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ধারণা করছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসের শেষের দিকে যমুনা নদীতে যে পরিমাণ পানি প্রবাহিত হয়েছে, তা গত ৩২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পানিপ্রবাহের পরিমাণ ১৯৮৮ সালের পর আর আসেনি।
এদিকে, হঠাৎ যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে চর এলাকার নিম্নাঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি। এর মধ্যেই যমুনা অধ্যুষিত জেলার পাঁচটি উপজেলার প্রায় ২০টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শাহজাদপুর উপজেলার সোনাতনী, জালালপুর কৈজুরী, সদর উপজেলার কাওয়াকোলা, মেছড়া, কাজীপুরের খাসরাজবাড়ি, মাইজবাড়ি, তেকানি, নাটুয়ার পাড়া, চরগিরিশ, নিশ্চিন্তপুর এবং চৌহালীর স্থল, ঘোড়জান, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের নিম্নভূমি প্লাবিত হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘সপ্তাহ দেড়েক আগে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছিল। আবারও উজানের ঢল ও টানা বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষাকালে নদীতে পানি বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। নদীতে পানি বাড়ছে। আমরা প্রতিনিয়ত নদীর তলদেশে সার্ভে করছি। যাতে কোথাও কোনও ক্রটি থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পানি। বাঁধগুলোর অবস্থা ভালো আছে।’
ইত্তেফাক/ইউবি
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক