কুমিল্লায় খোরশেদ আলম (৬০) নামে এক বাবার লাশ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। রবিবার বিকালে এ লাশ দাফন করা হয়। শনিবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয়রা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করার পর পুলিশ কুমিল্লা নগরীর বাদুরতলা এলাকার নবাব ফয়জুন্নেচ্ছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে একটি ডাস্টবিনের পাশ থেকে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করেছিল। সন্তানরা অসুস্থ অবস্থায় তাকে ওই ডাস্টবিনের পাশে ফেলে চলে যায় বলে তিনি পুলিশকে জানিয়ে ছিল। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তিনি মারা যান। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরও সন্তানরা বাবার লাশ নিতে না আসায় পুলিশ লাশটি দাফনের জন্য আঞ্জুমানে ইসলামে হস্তান্তর করে।
সন্ধ্যায় কোতয়ালি মডেল থানার এসআই শাহাব উদ্দিন জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি ওই বৃদ্ধ রাস্তায় পড়ে চিৎকার করছে। এ সময় ওই বৃদ্ধের খুব শ্বাস কষ্ট হচ্ছিল। ভালোভাবে কথা বলতে পারছিল না। তার দুই চোখ বেয়ে অশ্রু ঝড়ছিল। কিন্তু সে করোনায় আক্রান্ত কিনা এসব চিন্তা না করেই বিষয়টি সিনিয়র অফিসারদের জানিয়ে বৃদ্ধকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই।
তিনি আরও জানান, ‘অ্যাম্বুলেন্সে শুয়ে ওই বৃদ্ধ বলেছেন- তার সন্তানরা তাকে ডাস্টবিনের পাশে ফেলে চলে গেছেন। তবে বৃদ্ধ এতোটাই অসুস্থ ছিলেন যে তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম-ঠিকানা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায় বলে তিনি জানিয়ে ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তাকে বাঁচানোর সব চেষ্টাই করা হয়। কিন্তু সম্ভব হয়নি।’
কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল হক জানান, ওই বৃদ্ধ তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলায় বললেও বিস্তারিত পরিচয় না পাওয়ায় রবিবার মরদেহ আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিকালে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম কুমিল্লার সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন জানান, কোতয়ালি পুলিশের অনুরোধে পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় বৃদ্ধ খোরশেদ আলমের মরদেহ বিকালে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে।
ইত্তেফাক/এসি
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক