গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঘাঘট নদীর পানি কমে বিপদসীমার নিচে চলে যাওয়ায় মঙ্গলবার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী উপজেলায় করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। আশঙ্কাজনকভাবে এই নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই এলাকার মানুষের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে ৯১ সেন্টিমিটার বেড়েছে। অপরদিকে গত ৯ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে করতোয়া ও তিস্তার পানি এখনও বিপদসীমার নিচে রয়েছে। তিনি বলেন, করতোয়ার পানি আগামী দুইদিনের মধ্যে থেমে যাবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র, বাঁধ ও সড়কে থাকা মানুষ ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তারা ঘরে ফিরে বন্যা পরবর্তী বিভিন্ন সমস্যা ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও ঘাঘট নদীর পানি নেমে যাওয়ার সাথে ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী ১৩টি পয়েন্টে গত দুইদিনে প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি ও প্রচুর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এ কে এম ইদ্রিশ আলী।
ইত্তেফাক/এসি
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক