ভাঙ্গুড়ায় স্বামী তালাক দেওয়ায় মৌমিতা খাতুন (২৮) নামে এক নববধূ গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের কালিকাদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৌমিতা ঐ গ্রামের কামরুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে মৌমিতার স্বামী কামরুল ইসলাম তার প্রথম স্ত্রী ও অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, প্রথম স্ত্রী ও এক সন্তান রেখে সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী চিথুলিয়া গ্রামের শবদেল আকন্দের মেয়ে মৌমিতাকে বিয়ে করেন কামরুল। বিয়ের কিছুদিন পর মৌমিতার সঙ্গে কামরুলের মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। তুচ্ছ কারণে তিনি মৌমিতার ওপর প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। গত সোমবার রাতে এনজিও থেকে ঋণ নেওয়ার কথা বলে কৌশলে কামরুল স্ত্রী মৌমিতার কাছ থেকে তালাক নামায় স্বাক্ষর নেন। গতকাল তালাকের বিষয়টি জানতে পেরে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেন মৌমিতা। প্রতিবেশীরা টের পেয়ে তাকে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিত্সক মৌমিতাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৌমিতার পিতা শবদেল আকন্দ বলেন, মিথ্যা বলে তালাকের কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ায় মনঃকষ্টে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইত্তেফাক/এমআর
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক