ঈশ্বরদীতে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ মামলার আসামি জনি হোসেনকে (২২) নোয়াখালীর সূবর্ণচর থেকে গ্রেফতার করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ঈশ্বরদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) ফিরোজ কবীর আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত বছর ঈশ্বরদী থানায় তার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী বিধবা গৃহবধূ মুক্তি খাতুনকে (২৫) ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ৭ জুলাই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা ও এলাকাবাসীর বিবরণে জানা যায়, ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের ঢুলটি বাজার এলাকার মৃত জালাল উদ্দিনের বিধবা ও প্রতিবন্ধী স্ত্রী মুক্তি খাতুন স্বামীর মৃত্যুর পর ৫ বছর ধরে স্বামীর বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। এই সুযোগে এলাকার কিরণ মোল্লার পুত্র জনি হোসেন দীর্ঘদিন থেকে তাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। একপর্যায়ে বিধবা মুক্তি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়ভাবে সালিশের মাধ্যমে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। আসামি জনি সেসময় পলাতক ছিলো এবং সে ধর্ষিতার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলো। একপর্যায়ে ধর্ষিতার পরিবার থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
ঈশ্বরদী থানা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি নোয়াখালীতে অবস্থান করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিতে ফোর্স পাঠিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইত্তেফাক /আইএস
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক