জনবল সংকটে রাজশাহীর তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিত্সাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে হাসপাতালের জেনারেটরটি পড়ে আছে। এটি ব্যবহার করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। কিন্তু জনবল কাঠামো এখনো ৩১ শয্যার রয়ে গেছে। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ চিকিত্সা কর্মকর্তার পদ আছে ২৯টি। কিন্তু কর্মরত আছেন মাত্র ১৫ জন। আর শূন্য রয়েছে ১৪ জন চিকিত্সকের পদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর ৮৮টি পদের মধ্যে ১৭টি শূন্য। নিরাপত্তা প্রহরী, বাবুর্চিসহ চতুর্থ শ্রেণির ২৮টি পদের মধ্যে ১৫টি পদ খালি দীর্ঘদিন ধরে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, দুইটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে একটি অ্যাম্বুলেন্স অকেজো হয়ে গ্যারেজে পড়ে রয়েছে। আর একটি সচল থাকলেও ড্রাইভার করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় সেটিও চলছে না। ফলে করোনার নমুনা রামেক (রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল) পরীক্ষাগারে পৌঁছানো হচ্ছে ভাড়া করা অটোরিকশায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রোজি আরা খাতুন বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও জনবল কাঠামো ৩১ শয্যার রয়ে গেছে।
তিনি জানান, নওগাঁ হাসপাতালে ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দুই জন চিকিত্সক প্রেষণে আছেন। এছাড়া রাজশাহীতে প্রেষণে আছেন ক্যাশিয়ার, ফার্মাসিস্ট ও ল্যাব টেকনিশিয়ান। চিকিত্সক ও জনবল সংকটের কারণে রোগীদের সেবা দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তবে জেনারেটরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, জেনারেটর চালানো হয়। মাঝে মধ্যে জেনারেটরের সমস্যার জন্য বন্ধ থাকে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনাকালে বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ২০০ জন রোগী চিকিত্সা নেন। আর গড়ে রোগী ভর্তি থাকেন ১০ থেকে ১৫ জন।
ইত্তেফাক/জেডএইচ
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক