উপজেলার যমুনা বিধৌত ইউনিয়ন গাবসারা ইউনিয়নসহ গোবিন্দাসী, অজুর্না ও নিকরাইল ইউনিয়নে শতাধিক গ্রাম যমুনা নদীর পানিতে প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর ফসল। বসতবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহস্থ। উচু জায়গা গুলোতেও উঠেছে বন্যার পানি। বন্যায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন উপজেলার শতাধিক গ্রামের মানুষ।
সরেজমিন, গোখাদ্যে, বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে। এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের কয়েকটি স্থানে লিকেজ দেখা দিয়েছে। এছাড়া উপজেলার তারাই এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলে সংস্কার কাজ করছে। এছাড়া নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করায় বেশ কিছু এলাকার কাঁচা-পাঁকা সড়ক ভেঙে গেছে। উপজেলার গোবিন্দাসী-ভালকুটিয়া রাস্তার চারটি অংশে ভেঙে যায় কয়েক গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিকল্প হিসেবে ওই গ্রামের মানুষজন নৌকাযোগে যমুনা নদী হয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
এদিকে গতকাল শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আতাউল গনি ভাঙন ও বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন।
গোবিন্দাসী ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের আহাতন বেওয়া বলেন, যমুনা নদীর ভাঙনে ১০ বার বাড়ি সরিয়েছি। ছেলে, ছেলের বউরা সড়কের ওপর আশ্রয় নিলেও তিনি বাড়িতেই উচু করে মাচা বানিয়ে থাকছেন। সপ্তাহখানেক হল বন্যার পানিতে ভাসলেও ত্রাণ সহায়তাতো দূরের কথা কেউ দেখতে পর্যন্ত আসেননি। একই অভিযোগ জানালেন সমেলা ও বাবলুসহ অনেকেই।
গোবিন্দাসীর ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন জানান, আমার ওয়ার্ডে চার শতাধিক পরিবার রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত। অথচ গেলো বন্যায় ১০ কেজি চালের ১৩টা টোকেন পেয়েছিলাম। বন্যায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে গেছে।
উপজেলা কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও তথ্য সেবা কর্মকর্তা জলি রানী দাস বলেন, পুরো উপজেলার তথ্য নেই। কয়েকটি ইউনিয়নের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
ইত্তেফাক/এসি
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক