করোনা রোগীদের ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদান করার দায়ে সিলেটে এএইচএম শাহ আলম নামে এক চিকিৎসককে এক লাখ টাকা জরিমানা ও চার মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তিনি ওসমানী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। কিন্তু তিনি কোনো সরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন না। শাহ আলম নিজে ১৪ জুলাই করোনা আক্রান্ত হন। এ তথ্য গোপন রেখেই চেম্বারে রোগী দেখে যাচ্ছিলেন।
রবিবার রাত সাতটার দিকে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে র্যাব-৯ এর ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালালে এ তথ্য বেরিয়ে আসে। ঘটনাটি সিলেট নগরীতে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
নগরীর মধুশহীদ এলাকার মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের নীচ তলায় ডা. এ এইচ এম শাহ আলমের চেম্বারে অভিযান চালায় র্যাব-৯ । এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দা রায়। সুনন্দা রায় বলেন, ডা. আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তিনি তার অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। পরে তাকে ৪ মাসের জেল ১ লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি অনাদায়ে আরও ১ মাসের জেলা দেওয়া হয়। তার সব অনিয়মের প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে বলে সুনন্দা জানান।
র্যাব-৯ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম জানান, ডা. আলম বিদেশযাত্রীসহ কয়েকজনকে করোনার ভুয়া সার্টিফিকেট টাকার বিনিময়ে দিয়েছেন বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেন। পরে তাকে নিয়ে তার চেম্বার মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডে অভিযান চালানো হয়।
ডা. শাহ আলম নগরীর মধুশহীদ এলাকায় মেডিনোভা মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেডের নিচতলায় চেম্বার করেন। বিদেশযাত্রীদের জন্য বিভিন্ন দেশ ও এয়ারলাইন্স করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার পর প্রবাসীদের টার্গেট করেন ডা. শাহ আলম। করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলে বিদেশযাত্রীদের কাছ থেকে তিনি চার হাজার টাকা করে আদায় করেন। ফ্লাইটের ৪৮ ঘণ্টা আগে তিনি ওই প্রবাসীকে ডেকে নিয়ে হাতে ধরিয়ে দেন প্রত্যয়নপত্র। রোগী বা যাত্রীকে না দেখেই নিজের প্যাডে দেওয়া ওই প্রত্যয়পত্রে ডা. শাহ আলম লিখে দেন, তিনি ঐ ব্যক্তিকে তার চেম্বারে দেখেছেন এবং তার মধ্যে করোনার কোনো লক্ষণ নাই।
ইত্তেফাক/এএম
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক