সিলেটের বিভিন্ন পয়েন্টে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ছাতক ও সুনামগঞ্জে চলমান বন্যার সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। এর আগে পানি কিছুটা কমলেও আবার নতুন করে পানি বৃদ্ধি বানভাসি মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ শহরের কাজীর পয়েন্ট, ষোলঘর, নবীনগর, হাসন্ননগর, জামতলা, তেঘরিয়া মঙ্গলবার সকালেই প্লাবিত হয়েছে। অনেকের ঘরে পানি উঠেছে। পানির চাপে বাড়িঘর, সড়ক ও জনপদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঙ্গলবার দুপুরে ইত্তেফাককে বলেন, বিভিন্ন স্থানে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে বন্যার ব্যাপারে প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেটের ৫ উপজেলা ও সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলাসহ ১৬ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। সিলেটের ৫ উপজেলার মধ্যে কানাইঘাট ও কোম্পানিগঞ্জ সদরে পানি প্রবেশ করেছে।
আরো পড়ুন : রংপুর বিভাগে করোনায় আরো ৮১ জন আক্রান্ত
মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জে ১২০ মিলিমিটার ও ছাতকে ১৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিন বিকাল ৩টায় সুনামগঞ্জে সুরমা বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার, ছাতকে ১ দশমিক ৬১ সেন্টিমিটার, সিলেটে ৬১ সেন্টিমিটার, কানাইঘাটে ১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার এবং ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা ১ দশমিক ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আমলসিদ ও শেওলা পয়েন্টে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে, সিলেট নগরীতে রবিবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় নগরীর হাওয়াপাড়া, উপশহর, কাজীর বাজার, তালতলাসহ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
ইত্তেফাক/ইউবি
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক