লক্ষ্মীপুর ভোলা-বরিশাল রোড বেহালা হয়ে পড়েছে। সড়কটির কার্পেটিং উঠে ও খানা-খন্দক সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ১৬ জেলার মানুষ।
সরেজমিন, লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট সড়কে কাঁদা ভর্তি গর্তে যাত্রীবাহী বাস, বালুবাহী ট্রাক-লরি, লেগুনা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা আটকে যাচ্ছে। এ সময় ট্রাকের সামনের দিকে সড়কের কার্পেটিং লেগে থাকতে দেখা যায়। শ্রমিকরা চাকার নিচ থেকে কাঁদা সরিয়ে ট্রাক নিয়ে স্থান ত্যাগ করলেও যাত্রীবাহী বাস, লেগুনা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
স্থানীয় হারুন, হাবিব ও কামাল উদ্দিন জানান, জেলার সবচেয়ে বেশি ব্যস্ততম সড়ক এই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দকে ভরা। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শত শত পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী বাস-ট্রাক চলাচল করে। এখন সড়কটির এমন অবস্থা যাতে রিকশা চলতেও কষ্ট হয়। সন্ধ্যার পরই সড়কটি পুরো অন্ধকার হয়ে পড়ে। তখন যানবাহন গুলো অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।
ট্রাক চালক তছলিম উদ্দিন জানান, প্রায় তিন বছর ধরে সড়কটির বেহাল অবস্থা। গত ৮ মাস থেকে সড়কের বড়ো বড়ো গর্তে পানি জমে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রায়ই এসব গর্তে আটকে গাড়ি বিকল হয়ে সড়কের দুপাশে জানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: ফের হতাশ পাবনার তাঁতিরা
লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সড়কটি লক্ষ্মীপুর থেকে মজুচৌধুরীর হাট পর্যন্ত সাড়ে দশ কিলোমিটার (চার লেন) ৩৬ ফুট প্রশস্ত করার জন্য প্রায় একশ কোটি টাকা টেন্ডার হয়েছিলো। কিন্তু মন্ত্রণালয়ে তুলনামূলক বিবরণী (চিএস) পাশ না হওয়ার কারণে কার্যাদেশ পাচ্ছেনা ঠিকাদার। এ সড়কটি বরিশাল, লায়েরহাট, ভেদরিয়া, ভোলা, ইলিশা, মজুচৌধুরীর হাট-লক্ষ্মীপুর জাতীয় মহাসড়ক (৮০৯) অনুমোদন হয়েছিলো। কিন্তু ওই অংশে কাজ চললেও লক্ষ্মীপুর অংশে কাজ হচ্ছেনা।
লক্ষ্মীপুর সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক জানান, এ সড়কটির গত বছর ১৯ ডিসেম্বর টেন্ডার হয়েছিলো, যার কারণে সড়কটি সংস্কার কাজ করা যাচ্ছেনা। মন্ত্রণালয়ে চিএস পাশ হওয়ার পরই সড়কের কাজ শুরু করা যাবে।
ইত্তেফাক/এসি
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক