ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় একদিকে এনএস মাদরাসা সংলগ্ন বাসন্ডা নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ চলছে, একদিকে অন্যদিকে চলছে অবৈধভাবে নদী দখল। এ কাজের সুযোগে রাতের অন্ধকারে ভরে ফেলা হচ্ছে নদী। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ আগের কেটে রাখা মাটি একাধিক ভেকু মেশিন দিয়ে শুক্রবার রাত থেকে নদী ভরাটের কাজ শুরু করে। শনিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওপর দায় চাপানো হয়। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এটা রীতিমত অবৈধ নদী দখল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় বাসন্ডা নদীর ৩৮০ মিটার বাম তীর প্রতিরক্ষার কাজ চলছে। ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয় চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি। ২০২১ সনের জুন মাসে এ কাজ শেষ হবার কথা। কাজের মধ্যে রয়েছ জিও ব্যাগ ঢাম্পিং, ব্লগ ডাম্পিং ও ব্লগ প্লেটিং।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ এই কাজের সুযোগ নিয়ে শুক্রবার রাত ১১ টায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজের সামনে থেকে রাতের অন্ধকারে মাটি ফেলে নদী ভরাট শুরু করেছে। ৪টি ভেকু মেশিন দিয়ে দ্রুত তারা এ কাজ করছে।
রাতের অন্ধকারে কেন এভাবে নদী দখল করা হচ্ছে জানতে চাইলে নেছারাবাদ দরবার শরীফের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাওলানা মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমাদের মাদরাসার জায়গায় মাটি ভরাট করছি। এ কাজ রাতে কেন জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
আরও পড়ুন: ফের হতাশ পাবনার তাঁতিরা
এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের তীর রক্ষা কাজের উপ সহকারী প্রকৌশলী বিভুতি চন্দ্র রায় বলেন, আমাদের না জানিয়ে এ ধরনের কাজ না করতে আগেই মাদ্রাসা কর্তৃপকক্ষকে সতর্ক করা হয়ে ছিল। ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করা হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব। আমরা এই অবৈধ কাজের দায় নেবো না।
এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দিপক রঞ্জণ দাস বলেন, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সাথে মৌখিক ভাবে কথা বলেছি। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। একাজ তারা করতে পারেনা। একদিকে নদীর তীর রক্ষার কাজ হচ্ছে অন্যদিকে অবৈধ দখল হবে এটা মেনে নেয়া যায়না। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও তত্তাবধায়ক প্রকৌশলীকে জানানো হবে।
ইত্তেফাক/এসি
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক