গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রেমিকের প্রতারণার শিকার হয়ে এক কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ ৫ ধর্ষকসহ প্রেমিক শিমুল মিয়া (২১) কে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে ৬ জনের স্বীকারোক্তিতে এই ঘটনা প্রকাশ পায়।
গত রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জের ওই কিশোরীকে তার প্রেমিক শিমুল পালিয়ে বিয়ে করার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়েরাখাল বুরুজ ইউনিয়নের কাজীপাড়ানাওভাংগা গ্রামে নিয়ে আসে। সেখানে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী নীল মাহমুদের পুত্র এনামুল হক (৩০),আজিম উদ্দীনের পুত্র রেজাউল ইসলাম (৩২), ভোলা মিয়ার পুত্র ধলু মিয়া (২২), এজদুর রহমানের পুত্র সুমন মিয়া (২০), এবং কাজী সাহারুলের পুত্র সাদ্দাম ওরফে সুজন কাজী (৩০) তাদের আটক করে। এরপর তাদেরকে পাশ্ববর্তী ধলুমিয়ার বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে সেখানে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে প্রেমিকযুগল থানা এসে রাত ৩টার দিকে এ ঘটনার কথা জানালে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ৫ ধর্ষক সহ প্রেমিককে আটক করে।
এদিকে থানায় ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আসল রহস্য বেড়িয়ে আসে। প্রেমিক শিমুল ও আটক সাদ্দামের পরিকল্পনায় এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শিমুল বিবাহিত এবং সন্তান রয়েছে তা গোপন রেখে ওই কিশোরীর সাথে প্রেম করে আসছিল। আর তাকে বিবাহ করার জন্য নয় ধর্ষণের উদ্দেশ্যেই বাড়ী থেকে বের করে আনা হয়। ওই কিশোরী মহিমাগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। ভণ্ড প্রেমিক শিমুল মিয়া শিবপুর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের শফিকুলের পুত্র।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নির্যাতনের শিকার ওই মেয়ে নিজেই বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়াও ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
ইত্তেফাক/এসআই
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক