ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এদেশে অন্যায় অপকর্ম করতে স্বাধীনতা বিরোধী ও অগণতান্ত্রিক অপশক্তি বারবার আগস্ট মাসকেই বেছে নেয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এবং ২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্ট একই সূত্রে গাঁথা। এসব নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও অমানবিক ঘটনার মদদদাতা ও কুশীলবরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব ষড়যন্ত্রকারীর ব্যাপারে সর্বদা সচেতন থাকতে হবে।
আজ রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কালো দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই ভার্চুয়াল মিটিংয়ের আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এদিন বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন।
২০০৭ সালের ২০-২৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপর সংঘঠিত হয় অমানবিক ও বেদনার্ত ঘটনা। ওই হামলার প্রতিবাদে ২৩ আগস্টকে কালো দিবস হিসেবে পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয়।
সেদিনের ঘটনার তাৎপর্য অনুধাবনের ওপর গুরুত্বারোপ করে উপাচার্য বলেছেন, সেদিনের এই অমানবিক ও অনভিপ্রেত ঘটনার জন্য তৎকালীন অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকারের দুরভিসন্ধিই দায়ী। ক্যাম্পাসে সেসময় যে অরাজকতা চালানো হয়েছিল, সেটা ছিল আমাদের মহান স্বাধীনতার চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরিপন্থী। আর যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃতি না ঘটে সে ব্যাপারে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায় সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, ইউজিসি অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, ডাকসুর সদ্য সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) মো. সাদ্দাম হোসেন, কারা নির্যাতিত ছাত্র জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিরুল ইসলামসহ কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
ইত্তেফাক/কেকে
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক