this is caption
আজ ৬ এপ্রিল। কিংবদন্তী অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের ৮৪তম জন্মদিন। ১৯৩১ সালের এই দিনে মহানায়িকা সুচিত্রা পাবনায় জন্মগ্রহন করেন। এ বছর ১৭ জানুয়ারি দুই বাংলার লাখো কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। সে যাই হোক। আজ মহানায়িকা রমার জন্মজয়ন্তী। সে প্রসঙ্গেই আসা যাক। মহানায়িকার জন্মদিন নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন- মারুফ কিবরিয়া
খ্যাতিমান মানুষের সত্যিকার জন্ম তারিখ নিয়ে অনেক মজার গল্প প্রচলিত রয়েছে। একটি থাকে বাইরের দুনিয়ার মানুষের জন্য আরেকটি নিজের পরিবারের সাথে উদযাপন করার জন্য। যদিও খ্যাতির আড়ালে মানুষ হারিয়ে যায় কিন্তু তার জন্ম তারিখ আর জন্মস্থান কোনোদিন মলিন হতে পারেনি খ্যাতির কাছে।
যেমনটি জানা যায় রমার বন্ধুদের সূত্র ধরে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। রমা সব সময় বলতেন, ‘আমার জন্ম দুই দিন। একটি ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল যেদিন পাবনায় আমার জন্ম হয়েছিল। আরেকটি ১৯৫৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি যেদিন আমার প্রথম ছবি ‘সাত নম্বর কয়েদি’ কলকাতার থিয়েটারে মুক্তি পেয়েছিল।’ এই রমা থেকে সুচিত্রা হতে সময় লেগেছিল ২২ বছরের মতো। কিন্তু গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক না কেন সুবাস তার একই রকম থাকে।
মাত্র ৬০টি সিনেমা রয়েছে তার কর্মজীবনে। সংখ্যাতত্ত্বে খুব নগণ্য। শুধু অভিনয় গুণ দিয়ে ভুল প্রমাণ করেছেন সব তত্ত্ব ও হিসাবকে। ৬০টি সিনেমা দিয়ে বেঁচে থাকবেন হাজার বছর সিনেমাপ্রেমী মানুষের হৃদয়ে। ১৯৭৮ সাল থেকে চলে যান অবসরে। কিন্তু সবার আগ্রহের কেন্দ্রে ছিলেন সব সময়।
যতটা নিজেকে আড়াল করেন ঠিক ততটা মানুষের মনোযোগ বাড়তে থাকে তার প্রতি। হয়তো মানুষের আগ্রহ ধরে রাখার চেয়ে নিজের সৌন্দর্যকে চিরস্মরণীয় করে রাখতেই সুচিত্রার এই আড়ালে থাকার নেপথ্য কারণ হতেও পারে।
হয়তো তিনি সফলও হয়েছিলেন। আসেননি কখনও লোকচক্ষুর সামনে, যতদিন জীবিত ছিলেন। কিন্তু তবুও মৃত্যুর দুই মাস পর সুচিত্রার প্রথম জন্মদিনে আজও নাড়া দিয়ে যায় সুচিত্রা লাখো কোটি ভক্ত হৃদয়ে। হয়তো দীর্ঘদিন তাকে না দেখার কারণে সবাই ভেবে নিয়েছেন সুচিত্রা এখনও রয়ে গেছেন।
ভেবে নেবেন হয়তো সুচিত্রা আড়াল থেকে নিঃসঙ্গে নিজের জন্মদিন পালন করছেন। কেননা শাস্ত্রমতে, এমন কোনো অস্ত্র নেই যা দিয়ে আত্মাকে ছিন্ন করা যায়। এমন কোনো আগুন নেই যা দিয়ে আত্মাকে পুড়িয়ে দেয়া যায়। হয়তো সেই কারণে সুচিত্রা আমাদের অন্তর জগতে চিরকাল জীবিত থাকবেন।
এমকে/যাকা