সুশান্ত সিংহ রাজপুত মারা গিয়েছেন ছয় দিন পার হল। গত ১৪ জুন ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। এই একটি মৃত্যুই যেন আচমকাই নাড়িয়ে দিয়েছে বলিউডের আজন্মলালিত স্বজনপোষণ প্রথাকে। এবার তার মৃত্যু রহস্যে আবারও নতুন মোড় নিচ্ছে। এবার মুম্বাই পুলিশের আদেশানুসারে সুশান্তের সঙ্গে চুক্তিপত্র জমা করল প্রযোজনা সংস্থা যশরাজ ফিল্মস। গত বৃহস্পতিবার সুশান্তের সঙ্গে যশরাজের চুক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র জমা করার নির্দেশ দেয় বান্দ্রা থানার পুলিশ।
আজ শনিবার মুম্বাই পুলিশের জোন-৯-এর ডিসিপি অভিষেক ত্রিমুখে সংবাদমাধ্যমকে জানান, “সুশান্ত সিংহ রাজপুতের আত্মহত্যায় তদন্তকারী অফিসারকে আজ যশরাজ ফিল্মস চুক্তিপত্র জমা দিয়েছে। আমরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।”
পূর্ব সূত্রমতে, এক সাক্ষাৎকারে সুশান্ত জানিয়েছিলেন, কেরিয়ারের শুরুতে তিনি চুক্তিবদ্ধ ছিলেন যশরাজ ফিল্মসের সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী তাঁর ৩টি ছবি করার কথা ছিল এই ব্যানারের সঙ্গে। তার মধ্যে দু’টি ছবি ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’ এবং ‘ব্যোমকেশ বক্সী’ বাস্তবায়িত হলেও তৃতীয় ছবি ‘পানি’ আক্ষরিক অর্থেই বিশ বাঁও জলে ডুবেছিল। অথচ এই ছবিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ১১ মাস অভিনেতাকে অন্য ছবিতে সই করতে দেননি যশরাজ ফিল্মসের কর্ণধার আদিত্য চোপড়া! ‘পানি’ ছবিটি পরিচালনা করার কথা ছিল শেখর কপূরের।
সম্প্রতি টুইটে তিনি সে কথা স্বীকার করে জানান, এর পরেই প্রথম ভেঙে পড়েন ‘রাবতা’ স্টার।” আবার এই চুক্তির কারণেই দুটো বড় ছবি হাতছাড়া হয়েছিল সুশান্তের। যার মধ্যে একটি সঞ্জয় লীলা ভনশালীর ‘রাম লীলা’, অন্যটি ‘বেফিকরে’। সে সময় আদিত্যই নতুন প্রতিভাকে পক্ষান্তরে চেপে দিয়েছিলেন অন্য প্রযোজকের ছবিতে কাজ করার অনুমতি না দিয়ে।
এই চুক্তিপত্রের জন্যই অভিনেতার কেরিয়ারে গ্রহণ লেগেছিল। ছয় মাসের মধ্যে সাতটি ছবি হাতছাড়া হয়ে গেছিল। অথচ চুক্তিতে থাকা সত্ত্বেও রণবীর সিংহ একাধিক অন্য ছবিতে অভিনয়ের অনুমতি পেয়েছিলেন। তার জ্বলন্ত উদাহরণ ‘রাম লীলা’। সুশান্ত নিজেই বলেছিলেন সঞ্জয় লীলা ভনসালীর ওই ছবিতে প্রথমে অভিনয় করার কথা ছিল তাঁরই। কিন্তু যশরাজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকার কারণে ওই ছবি করতে পারেননি সুশান্ত।
দু্ইদিন আগে সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে ডাকা হলে তিনি পুলিশকে জানান, যশরাজের সঙ্গে চুক্তি শেষ করে দিয়েছিলেন সুশান্ত। এবং রিয়াকেও নাকি তিনি ওই বিগ ব্যানারের সঙ্গে কাজ করতে বারণ করেছিলেন। সূত্র: আনন্দবাজার।
ইত্তেফাক/বিএএফ
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক