this is caption
ইরান যাকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছে, হোয়াইট হাউজ বলছে, তারা ওই ব্যক্তিকে ভিসা দেবে না। এ নিয়ে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে নতুন করে বিরোধ দেখা দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত হামিদ আবুতালেবি ১৯৭৯ সালে তেহরানে মার্কিন দূতাবাসে হামলার সাথে জড়িত বলে তার নিয়োগ নিয়ে আমেরিকার কঠোর আপত্তি রয়েছে।
তবে ইরান যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তকে আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী বলে উল্লেখ করেছে।
জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত মনোনীত হবার পর হামিদ আবু তালেবিকে যেন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি না দেয়া হয়- কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আসা এমন প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ওবামা অনেকটা চাপের মুখে পড়েন।
এ সপ্তাহের শুরুতে ইরানকে হোয়াউট হাউজ জানিয়ে দিয়েছে, হামিদ আবুতালেবিকে জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নির্বাচিত করে তারা ঠিক কাজ করেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তকে দু:খজনক ও আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী বলে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘের ইরানের মুখপাত্র হামিদ বাবেই।
আবুতালেবিকে ভিসা না দেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভ এবং সিনেট উভয় কক্ষেই বিল পাস হয়েছে। এখন বিলটি চূড়ান্তভাবে আইনে পরিণত হতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সই প্রয়োজন।
ইরান বলছে, সবচেয়ে অভিজ্ঞ কূটনীতিকদের মধ্যে হামিদ আবুতালেবি, যোগ্যতার ভিত্তিতেই তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র জে কার্নি শুক্রবার বলেছেন, “আমরা জাতিসংঘ এবং ইরানকে জানিয়ে দিয়েছি যে আমরা মি: আবুতালেবির ভিসা ইস্যু করবোনা। এ লক্ষ্যে কংগ্রেসে ইতোমধ্যেই একটি বিল পাস করা হয়েছে। আমরা আইনটি পর্যালোচনা করবো।”
যদিও ভিসা না দেয়া সংক্রান্ত বিলটিতে প্রেসিডেন্ট ওবামা সই করবেন কিনা সে বিষয়ে কিছু জানাননি কার্নি।
১৯৭৯ সালে তেহরানে মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেয় একদল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। সেই সংকটে ৫২ জন অ্যামেরিকান ৪৪৪ দিন আটকে ছিলেন।
তবে গত মাসে ইরানিয়ান এক নিউজ সাইটে দেয়া সাক্ষাতকারে আবুতালেবি বলেছিলেন, মার্কিন দূতাবাস দখল করে নেয়া গ্রুপটির সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন না।
এর আগে কখনো যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের কোনো রাষ্ট্রদূতের ভিসা প্রত্যাখ্যান করেনি।
শাতৈ