প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত একটি চোর ভারতের ঝাড়খণ্ড পুলিশের জন্য বড় মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, চোরটি দ্বারা এ পর্যন্ত ৩০ জন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত তিনবার পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়েও গেছেন করোনা আক্রান্ত সেই চোর।
ভারতীয় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, চোরটিকে দশদিন আগে ১৫০ রুপি চুরির দায়ে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ থেকে আটক করা হয়। পরে পরীক্ষা করানো হলে সেই চোরের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
গত দশদিনে করোনা আক্রান্ত চোরটি তিনবার পুলিশের কাছ থেকে পালিয়েছেন। তাকে পুনরায় আটক করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত ওই চোরকে আটক করতে গেলে পুলিশকে স্পর্শ করে সে ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখায়।
ভারতীয় পুলিশ জানায়, করোনা শনাক্তের পর চোরটিকে হাজারিবাগের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হলে সেখান থেকে পালিয়ে প্রথমে পালিয়ে যায় সে। হাসপাতালের ভেন্টিলেটর কেটে পালানোর এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে পুলিশ আবার আটক করে। এতেই ২৯ জন পুলিশ করোনায় আক্রান্ত হন । আটকের পর তাকে ওই হাসপাতালে আবারো ভর্তি করা হলে সেখান থেকে দ্বিতীয়বারের মতো পালায় চোরটি। এবার শৌচাগারের জানালা থেকে লাফ দিয়ে পালায় সে। পালানোর ৩০ ঘণ্টা পর আবারো পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
দ্বিতীয়বার আটকের পর পুলিশ ওই চোরটিকে নিয়ে আরো সতর্ক হয়ে যায়। শেষবার তাকে ঝাড়খণ্ডের রাঁচির রাজেন্দ্র ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে হাজারিবাগ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ওই হাসপাতালের যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায় ওই চোর। পরে স্থানীয় লোকেরা একটি অপরিচিত মানুষকে ঘোরাঘুরি করতে দেখলে ওই চোরের কাছে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। জানা গেছে, তখনও থুতু ছিটিয়ে এবং স্পর্শ করে ওই স্থানীয়দের করোনার ভয় দেখান চোরটি। শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে তাকে আবারো আটক করে।
এ নিয়ে হাজারিবাগের পুলিশ কর্মকর্তা কার্তিক এস জানায়, সে আমাদের জন্য মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে গত দশদিনে তিন বার পালিয়েছে। গালফ নিউজ।
ইত্তেফাক/এআর
“
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক