অনলাইন কোর্স চালু হলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র হতে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে ট্রাম্প প্রশাসন সরে এলেও শুক্রবার ফেডারেল ইমিগ্রান্ট কর্মকর্তারা নতুন এক ঘোষণা দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, এই শরতে নতুন বিদেশি শিক্ষার্থীরা ক্লাস পুরোপুরি অনলাইনে করার পরিকল্পনা করলে তাদের এ দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।
করোনা ভাইরাসের মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে তত্পর ট্রাম্প প্রশাসন। এমনকি শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফিরে যাওয়া উচিত বলে মনে করছেন তারা। তবে সংক্রমণ প্রতিরোধে অনলাইন কোর্স চালুর চিন্তা করা হচ্ছে। এমনই অবস্থায় মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) বলেছে, শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে শুরু হলে যে অভিবাসীরা ৯ মার্চের মধ্যে শিক্ষার্থী হিসেবে নথিভুক্ত নন তারা ভিসা পাবেন না। তবে যেসব আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী বিদেশ থেকে ফিরছেন এবং ভিসা আছে, তারা অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে পারবেন। নতুন গাইডলাইনে হতাশা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্টদের সংগঠন দ্য আমেরিকান কাউন্সিল অন এডুকেশন। এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড ফার্নসওর্থ বলেছেন, ‘আমরা এই ভয়টা করছিলাম এবং প্রস্তুতও ছিলাম। আমরা এখনো হতাশ।’
আরও পড়ুন:কোয়ারেন্টিন সেন্টারে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে করোনা রোগী গ্রেপ্তার !
গত ৬ জুলাই ট্রাম্প প্রশাসন এক ঘোষণায় জানায়, দেশে অনলাইন ক্লাস শুরু হলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের বের করে দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করে দুই শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ১৭টি অঙ্গরাজ্য। হার্ভার্ড ও এমআইটি মামলাও করেছিল, তাতে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত পালটানোর রুল জারি করে আদালত। আলজাজিরা।
ইত্তেফাক/আরআই
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক