this is caption
প্রযুক্তির আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য করা হয় চিকিৎসা ব্যবস্থাকে। এই আধুনিক যুগে ঘরে বসেই আপনি যে কোন রোগ সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ফেলতে পারেন। প্রাচীনকালে এটা সম্ভব ছিল না। তাহলে রোগ-বালাই হলে মানুষ কী করতো– সেটা একটা প্রশ্নই বটে।
বর্তমানের মতো আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি না থাকলেও প্রাচীনকালে ছিলো ভেষজ বা হারবাল চিকিৎসা পদ্ধতি। সর্বস্বীকৃত এই পুরাতন চিকিৎসা পদ্ধতিই মানুষকে শতাব্দীর পর শতাব্দী সুস্থ রেখেছে।
আসুন জেনে নেই ১২টি ভেষজ চিকিৎসা পদ্ধতি।
১। দাঁত ব্যথায় পেয়ারার পাতা চিবাতে পারেন। পেয়ারার পাতা দাঁত ব্যথা উপশমে দারুণ ভূমিকা রাখে।
২। যাদের শ্বাসকষ্ট আছে তারা বাসক পাতা ও ছাল একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেঁটে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। শ্বাসকষ্ট নিরাময় হবে।
৩। তেঁতুল পাতার রস সামান্য পানিতে মিশিয়ে খেলে কৃমির সমস্যা দূর হয়। পেটের কৃমি দূর করতে প্রতিদিন সকালে নাস্তার পর এক চামচ কুঁচানো নারকেল খাবেন, পেটের কৃমি দূর হয়ে যাবে।
৪। বদহজমে নিমের ছাল আদর্শ ঔষধ। এক টুকরো নিমের ছাল এক কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন খালি পেটে খেলে অজীর্ণ রোগ সেরে যাবে।
৫। মায়ের বুকে দুধের স্বল্পতা থাকলে কলমি শাক খাওয়াতে পারেন। কলমি শাক বেঁটে ২ চামচ রস ঘি দিয়ে সকাল-বিকাল খেলে বুকে দুধ আসবে।
৬। ডালসহ পুদিনা পাতা ৭/৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি ছেঁকে খেলে পেট ফাঁপা ভালো হবে।
৭। মুখে ব্রণ উঠলে লবঙ্গ বেঁটে লাগিয়ে দিন। দাগসহ ব্রণ মিলিয়ে যাবে।
৮। ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যা থাকলে বেল পাতার রস পানির সাথে মিশিয়ে ঘর্মাক্ত স্থান মুছুন। দুর্গন্ধ কমে যাবে।
৯। ঠোঁটের দু’পাশে এবং মুখের ভেতরে অনেক সময় ঘায়ের মত হয়। গাব ফলের রসের সাথে অল্প পানি মিশিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে ঘা সেরে যায়।
১০। অনেকের নাক দিয়ে রক্ত পড়ার সমস্যা আছে। ডাব খেলে অথবা খালি পেটে নারিকেল খেলে নাক দিয়ে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায়।
১১। লিভারের ব্যাথা সারাতে নিম দারুণভাবে উপযোগী। ১ গ্রাম নিমের ছাল, ১/২ গ্রাম কাঁচা হলুদ ও ১ গ্রাম খানিক শুকনো আমলকির গুঁড়োর সাথে মিশিয়ে খালি পেটে খেলে এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
১২। সাধারণত কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে শিশুরা রাতে কান্নাকাটি করে। পরিত্রাণ পেতে গরুর সামান্য গরম দুধের সাথে ২০ ফোঁটা কলমির রস খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য সেরে যাবে। তবে বাচ্চার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে খাওয়ানো উচিত।
এসবিএ/যাকা