this is caption
ফেসবুকে মার্কিন গোয়েন্দাদের নজরদারির কারণে হতাশ জাকারবার্গ শেষ পর্যন্ত ফোন দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে।
সম্প্রতি ফেসবুক জুড়ে গোয়েন্দাদের গোপন নজরদারির বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। আর এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে টেলিফোন করেন জাকারবার্গ। বৃহস্পতিবার ফেসবুকে দেয়া পোস্টে এ কথা লিখেছেন তিনি।
বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, “ফেসবুকে মার্কিন গোয়েন্দাদের নজরদারির বিষয়ে নিজের হতাশা প্রকাশ করতে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে টেলিফোন করেছিলেন ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।”
ফেসবুকে এক পোস্টে জাকারবার্গ লিখেছেন, “আমি হতাশ ও বিভ্রান্ত।” যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি জাকারবার্গ লিখেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রকে ইন্টারনেটে চ্যাম্পিয়ন হতে হবে, হুমকি নয়।”
জাকারবার্গের লেখা পোস্টের লিংক https://www.facebook.com/zuck/posts/10101301165605491
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) বিরুদ্ধে গোপনে ইন্টারনেটে ম্যালওয়্যার ছড়ানো ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। ফেসবুক সার্ভারের ছদ্মবেশে সাধারণ ব্যবহারকারীদের পিসিতে ম্যালওয়্যার সংক্রমণ ঘটানোর এবং তথ্য চুরির বিষয়ে তাদের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। তবে সংস্থাটি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মী স্নোডেন সর্বপ্রথম ফেসবুকের ছদ্মবেশে মার্কিন গোয়েন্দাগিরির বিষয়টি ফাঁস করেছেন।
গোয়েন্দারা ‘টারবাইন’ নামে একটি গোপন কর্মসূচির আওতায় ওই ম্যালওয়্যার সংক্রমণের ঘটনা ঘটায়। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও জাকারবার্গ ও ওবামার কথোপকথনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
গোয়েন্দাদের ইন্টারনেটে গোপন নজরদারি ঠেকাতে গুগল, অ্যাপল, মাইক্রোসফট, টুইটার, এওএল, লিংকডইন ও ইয়াহু মিলে ‘রিফর্ম গভর্নমেন্ট সার্ভিলেন্স’ নামে একটি জোট গঠন করেছে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে বারাক ওবামা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানদের সাথে আলোচনায় বসেছিলেন। মার্কিন প্রশাসনকে গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়টি স্বচ্ছ ও পুনর্গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
গত বছরে সেপ্টেম্বরে ফেসবুকে গোয়েন্দাগিরির খবর প্রকাশ হওয়ার পর মার্ক জাকারবার্গ এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিলেন।
ইয়া/শাতৈ/রর