করোনার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই যুক্তরাষ্ট্রসহ সারাবিশ্বে চলছে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন। এ প্রতিবাদকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে সম্প্র্রতি ইংলিশ ফরোয়ার্ড রাহিম স্টার্লিং জানিয়েছেন, বর্তমান বিশ্বের প্রধান মহামারি এটিই। শিগিগরই এর প্রতিকারের উপায়ও খুঁজে বের করায় গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
পশ্চিমা বিশ্বে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বর্ণবাদী আচরণের ইতিহাস বেশ দীর্ঘ। সম্প্র্রতি জর্জ ফ্লয়েডের পুলিশি হেফাজতে খুন হওয়ার ঘটনা আবারও সামনে নিয়ে এসেছে ব্যাপারটিকে। তবে খেলোয়াড়দের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হওয়াটাও শেষ কয়েক বছরে বেড়েছিল আশঙ্কাজনক হারে। স্টার্লিং নিজেই যেমন—২০১৮ সালে প্রিমিয়ার লিগের এক ম্যাচে চেলসির মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে, এরপর বুলগেরিয়ায় বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছিলেন।
এরপর অবশ্য তিনি জোরগলায় এর প্রতিবাদ করেছিলেন। সম্প্র্রতি বর্ণবাদবিরোধী প্রতিবাদ-সমাবেশকেও সমর্থন জানালেন তিনি। সম্প্র্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘বর্ণবাদ একটা অবিচার যার বিরুদ্ধে তারা লড়ছেন। মানুষের কোনো ক্ষতি না করে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই চালাবেন বলে আশা করছি।’
বর্ণবাদকে করোনার মতোই মহামারি বলে আখ্যা দিয়ে ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার বলেন,‘সাম্প্র্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড়ো রোগ হচ্ছে বর্ণবাদ, এটি মহামারির আকারে পৌঁছেছে। আমরা প্রতিদিন এর বিপক্ষে লড়ছি। করোনার মতো এরও প্রতিকারের একটা উপায় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। যারা আন্দোলন করছেন তারাও এর দাবিই করছেন।’
তিনি আরো জানান, বর্ণবাদের প্রতিবাদ করতে প্রশাসনের রক্তচক্ষুকেও পরোয়া করেন না তিনি। স্টার্লিংয়ের ভাষ্য, ‘বর্ণবাদের বিপক্ষে মন্তব্য করতে চাকরি নিয়ে এক মুহূর্তও ভাবনা আসে না আমার মনে। ন্যায়ের ব্যাপারটাই শুধু কাজ করে ভাবনায়। এমন আচরণ নিয়ে চুপ করে থাকা সম্ভব নয় আর। সবাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন একে নিয়ে, এখন আমাদের পরিবর্তন দরকার।’
মূলত হাতকড়া পরানো ফ্লয়েডের ঘাড়ে পুলিশের হাঁটু গেড়ে বসার ভিডিও অন্তর্জালে ছড়িয়ে পড়তেই এই প্রতিবাদের শুরু। এরপর বুন্ডেসলিগা ও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বিভিন্ন দল, বিভিন্ন ক্রীড়াব্যক্তিত্ব ব্যক্তিগত ও দলগতভাবে প্রতিবাদে একাত্মতা ঘোষণা করেন।
ইত্তেফাক/এসআই