বাংলাদেশ ও ভারত খেলা আয়োজনের স্বাগতিক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ না করায় এএফসি কাপের বাকি খেলাগুলো মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ এবং ভারতের পক্ষ থেকে কেউ স্বাগতিক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ না করলে ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি পায় দেশটি। এদিকে, ফুটবলারদের নিরাপত্তায় কঠোর অবস্থানে এএফসি। দুই দফা করোনা পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা।
করোনা পরিস্থিতিতে ফুটবল মাঠে রাখাটাই যেখানে চ্যালেঞ্জিং, সেখানে কোন কাপ কিংবা টুর্নামেন্টের আয়োজক হওয়া বিশাল ঝামেলার। সেটা এড়াতেই স্বাগতিক হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেনি বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংস এবং ভারতের চেন্নাই এফসি। আর এই সুযোগ নিয়েই এএফসি কাপের পরবর্তী রাউন্ডগুলোর আয়োজক এখন মালদ্বীপ।
সুষ্ঠুভাবে ম্যাচ আয়োজনের জন্য চেষ্টার কোন কমতি নেই এএফসির। আর তাই সফরকারী দলের যাতায়াত এবং থাকা খাওয়ার জন্য এক লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দিচ্ছে এশিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এছাড়াও স্বাগতিক দেশ যাতে নির্বিঘ্নে সব কাজ পরিচালনা করতে পারে এ জন্যও এএফসি দিচ্ছে বিশেষ ভর্তুকি।
বাফুফে’র সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম সোহাগ জানান, ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। যদি কোনো দেশ বা ক্লাব হোস্ট হতে চাই সেহেতু ১৭ তারিখের মধ্যে ভারত অথবা বাংলাদেশে কেউ আবেদন করেনি। তৃতীয় যে দেশ মালদ্বীপ তারা আবেদন করে। সেই আলোকে এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন চিঠি দিয়ে মালদ্বীপকে করফার্ম করেছে।
চলমান পরিস্থিতিতে এএফসি ম্যাচ আয়োজনের সাহস দেখালেও, শঙ্কা থেকে যায় ফুটবলারদের নিরাপত্তা নিয়ে। যেটি নিয়ে বেশ সচেতন এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। ম্যাচের আগে দুই ধাপে কোভিড-১৯ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে খেলোয়াড় ও সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য।
আবু নঈম সোহাগ জানান, এফসি কাপে আমাদের বসুন্ধরা কিংসের খেলা রয়েছে আগামী ২৩ অক্টোবর। তার চারদিন আগে তাদেরকে মালদ্বীপ পৌঁছাতে হবে। এছাড়া তারা যাবার আগে প্রত্যেককে করোনার টেস্ট করাতে হবে এবং মালদ্বীপ পৌঁছানোর পর প্রত্যেককে আবার করোনা টেস্ট করাতে হবে।
আগামী ২৩ অক্টোবর স্বাগতিক মাজিয়া এফসির বিপক্ষে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচ খেলবে বসুন্ধরা কিংস। তাদের পরের ম্যাচগুলো যথাক্রমে ২৬ অক্টোবর, ২৯ অক্টোবর এবং ১ ও ৪ নভেম্বর।
ইত্তেফাক/এসআই
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক