ঢাকা, ১২ জানুয়ারি- মিরপুরের আউটারের দুই নম্বর নেটে ব্যাট করছিলেন সাকিব। যে নেটে পর্যবেক্ষণ করছিলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো নিজে। পেস বোলারদের নিয়ে লম্বা সময় দুই নম্বর নেটে কাটালেন এ বাঁহাতি। বোলারদের মোকাবিলায় কোচের বাহ্বাও পেলেন বেশ কয়েকবার। পর্যায়ক্রমে থ্রোয়ার এবং স্পিনারদের নেটেও সময় দিলেন তিনি। নিজেকে সেরা ছন্দ নিয়ে যেতে একজন চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটারকে কতটা পরিশ্রম করতে হয়, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারেন সাকিব।
আরও পড়ুন : বিরাট-আনুশকার শিশুকন্যার প্রথম ছবি প্রকাশ
নিষেধাজ্ঞা-উত্তর নিজের প্রত্যাবর্তনের ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি সব্যসাচী এ ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তনের জন্য তাই ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিচ্ছেন নিজেকে। সেটা যেমন ব্যাটিংয়ে তেমনি বোলিং, ফিল্ডিংয়েও। অনুশীলনে ‘নতুন সাকিবকে’ দেখে রীতিমতো মুগ্ধ কোচ ডমিঙ্গো।
বিসিবির চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর সাকিবকে খুব বেশি সময় দলে পাননি ডমিঙ্গো। ২০২০ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্ট ও ত্রিদেশীয় টি২০ সিরিজ শেষেই বেজে ওঠে বিচ্ছেদের বীণা। পর্যবেক্ষণের সিরিজের পর সাকিবের সঙ্গে আর কাজ করা হয়নি টাইগার প্রধান কোচের। ভারত সিরিজের আগে আইসিসির এক বছরের জন্য ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে তাকে। গত বছর ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞামুক্ত হলেও সাকিব জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিলেন এই প্রথম।
সে কারণে সাকিবের প্রতি একটু বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন প্রধান কোচ। ওয়ানডে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারও একাগ্রতা দেখাচ্ছেন। তিনটি নেটে লম্বা ব্যাটিং সেশন শেষ হলে বোলিং করেছেন ১০ ওভার। এই পর্বে কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরনের সাহযোগিতা নিলেন তিনি। মোবাইলে ভিডিও দেখিয়ে ছোট্ট একটু সংশোধন করে দিলেন বাঁহাতি এ স্পিনারকে। বল ছাড়ার মুহূর্তে কবজি এবং আঙুলের মোচড় নিজেই ঠিক করে নিলেন সাকিব।
রায়ান কুকের ফিল্ডিং সেশনেও কঠোর পরিশ্রম করতে দেখা গেছে তাকে। ফিল্ডিংটা সব সময় ভালো করেন তিনি। ফিট হলে দারুণ ক্ষিপ্রতা তার। বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের সময়ের চেয়েও এখন বেশি ফিট দেখাচ্ছে সাকিবকে। রোগাপাতলা হয়েছেন বিশ্বকাপের সময়ের মতো।
ওয়ানডের প্রাথমিক স্কোয়াডের নবীন সদস্যের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেশনগুলো করছেন সাকিব। সিনিয়রকে একাগ্র দেখে জুনিয়ররাও উজাড় করে দিচ্ছেন। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক ফিল্ডিং নিয়ে আশার কথাই বলেছেন, ‘টি২০ টুর্নামেন্টের পর খেলোয়াড়রা বিরতিতে ছিল। চেষ্টা করছি তাদের মুভমেন্ট ও বেসিকের ওপর কাজ করতে। থ্রোয়িংকে আগের জায়গায় আনতে। খেয়াল রাখতে হচ্ছে, কিছু ক্ষেত্রে অনভ্যস্ততার কারণে চোট না বাঁধে। তাই তাদের ধীরে ধীরে আগের জায়গায় আনার চেষ্টা করছি। সিরিজের কাছাকাছি আসতে আসতে আমরা অনুশীলনের তীব্রতা বাড়াব।’ প্রায় দেড় বছর পর জাতীয় দলের ক্যাম্পে ফিরলেও কোচদের এই প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে ঠিকই মানিয়ে নিয়েছেন সাকিব।
সূত্র: সমকাল
আর/০৮:১৪/১১ জানুয়ারি